সাজেক ভ্যালী
সাজেক ভ্যালী এর ভৌগলিক অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলার সর্বউত্তরে মিজোরাম সিমান্তে। সাজেক ভ্যালী মেঘের জন্য বিখ্যাত বলে এটাকে মেঘের রাজ্যও বলা হয়, আবার অনেকে এটাকে বাংলা ভূস্বর্গ হিসেবেও অবিহিত করেন। বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় স্থান এটি। রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সব চাইতে বড় ইউনিয়নের নাম সাজেক। সাজেকের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফিট। রাঙ্গামাটি জেলায় সাজেকের অবস্থান হলেও ভৌগলিক কারণে সাজেক ভ্রমণ করতে খাগড়াছড়ির দিঘীনালা দিয়ে। সড়ক পথে সাজেকে যাওয়ার এটিই সহজ রাস্তা। খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে সাজেকের দুরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আর দীঘীনালা / বোয়ালখালী বাজার থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার, বাঘাইহাট বাজার থেকে ৩৪ কিলোমিটার। সাজেকের উত্তরে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিনে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে রয়েছে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা।
Sajek Valley Travel information & Resort Booking: +8801898232747
সাজেক-এ আসলে আপনি যা যা দেখবেন
সাজেকে রয়েছে প্রকৃতির অপরূপ মায়াবী সৌন্দর্য্য। সাজেক আসলে আপনার দেহ, মন, প্রাণ পুলকিত হবে এক বিশুদ্ধ চিন্তা আর অনুভূতিতে। মেঘের রাজ্য সাজেক – এ সাদা তুলোর মত শুভ্র মেঘ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সাজেক এমন একটি স্থান যেখানে একই দিনে কয়েক রকম রূপের সান্নিদ্য পাবনে আপনি। সাজেকে কখোনো আপনার কাছে খুব গরম অনুভূত হবে তারপর দেখবেন হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন আপনি, এরই ফাঁকে দেখবেন মেঘের চাদরে ঢেকে গেছে আপনার চারপাশ। সাজেকে সূর্যোদয় দেখার সুখানূভূতি তা আপনি কখনো ভূলতে পারবেন না। সূর্যোদয়ের সাথেই শুরু হয় মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা। প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে রিসোর্টে বসে মেঘের খেলা দেখার আদর্শ জায়গা হল সাজেক ভ্যালী। সাজেক ভ্রমণে প্রধান আকর্ষন গুলো হল, সাপের মত আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে সাজেক আসা যা আপনাকে অন্যরকম রোলার কোষ্টারের অনূভূতি দিবে, সাজেকের সর্বোচ্ছ চূড়া কংলাক পাহাড়, সাজেকের সকাল, মেঘের খেলা, রংধনু ইত্যাদি। শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছরির মতই সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সাজেক ভ্যালী। সাজেকের আসলে যা যা দেখবেন, রুইলুই পাড়া, কংলাক পাড়া, হ্যালীপ্যাড, কমলক ঝর্ণা, ষ্টোন গার্ডেন, শিব মন্দির, ঝাড়ভোজ, সূর্য ঘড়ি।
সাজেক আসার উপযুক্ত সময়
চিরযৌবণা সাজেক ভ্যালী ( Sajek Valley ) সারা বছরই বিভিন্ন রকম বর্নিল সাজে সেজে থাকে আপনার জন্য। বছরের যেকোন সময়ে আপনি ভ্রমন করতে পারেন মেঘের রাজ্য সাজেক। তবে বর্ষা, শরৎ, হেমন্তে মেঘের আধিক্য বেশী দেখা যায়। হঠাৎ হঠাৎ মেঘের সাগরে হারাতে চাইলে এই সময়ে ভ্রমণ করতে পারেন।
সাজেক আসার উপায়
ঢাকা থেকে সাজেক আসার উপায়
সাজেক আসতে হলে আপনাকে শুরুতে আসতে হবে খাগড়াছড়ি। বর্তমানে ঢাকা থেকে প্রায় সব ধরণের বাসই খাগড়ছড়িতে আসে। এসি বাসের মধ্যে রয়েছে গ্রীন লাইন, দেশ ট্রাভেলস, হানিফ, সেন্টমার্টিন হুন্দাই, সেন্টমার্টিন পরিবহন, শান্তি পরিবহন, ঈগল, শ্যামলী পরিবহন ইত্যাদি। আর নন এসির মধ্যে রয়েছে শ্যামলী এন আর, শ্যামলী এস পি, শান্তি পরিবহন, এস আলম পরিবহন, ইকোনো পরিবহন, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ঈগল পরিবহন ইত্যাদি। ঢাকার গাবতলী, কল্যানপুর, শ্যামলী, কলাবাগান, ফকিরাপুল, কমলাপুর, আরামবাগ, সায়দাবাদ, টিটি পাড়া বালুর মাঠ, আব্দুলাহপুর থেকে এই সকল গাড়ির টিকেট সগ্রহ করতে পারবেন।
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসার বাস ভাড়া
বাস কোয়ালিটি | ভাড়ার পরিমান |
---|---|
এসি বাস বিজনেস ক্লাস | ১৬০০৳ |
এসি বাস ইকোনমি ক্লাস | ১২০০৳ |
নন এসি বাস বিজনেস ক্লাস | ৮৫০৳ |
নন এসি বাস ইকোনমি ক্লাস | ৭৫০৳ |
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক আসার উপায় ও জীপ গাড়ি ভাড়া
বাসে করে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসার পর বাস থেকে নেমে আপনি চলে যাবেন খাগড়াছড়ি জীপ মালিক সমিতির অফিসে। খাগড়াছড়ির শাপলা চত্ত্বরেই এই অফিস। আপনাকে বাসে যেখানে নামিয়ে দিবে সেখানেই এই অফিস। বেশী খোঁজাখুঁজি করতে হবে না। সেখান একটা জীপ গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি সাজেক চলে আসতে পারবেন। এইখানে জীপ/মাহিন্দ্রা গাড়ি ২/৩ দিন এর জন্নয ফুল রিজার্ভ করতে হয়। প্রতি জীপে আসন সংখ্যা ১২-১৩ টি। তাই ছোট গ্রুপ হলে চেষ্টা করবেন অন্য কোন গ্রুপের সাথে জয়েন করতে। আপনি যদি নিজে গ্রুপ ম্যানেজ করতে না পারেন তাহলে, জীপ সমিতির অফিসে গিয়ে তাদের বললেই তারা আপনাকে ম্যানেজ করে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি জীপ গাড়ি / চান্দের গাড়ির ভাড়ার তালিকা
গাড়ি | স্থান ও সময় | ভাড়ার পরিমান |
---|---|---|
চান্দের গাড়ি / জীপ গাড়ি | দিনে দিনে ফিরে আসা (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) | ৭,৫০০৳ |
মাহিন্দ্রা গাড়ি | দিনে দিনে ফিরে আসা (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) | ৮,০০০৳ |
চান্দের গাড়ি / জীপ গাড়ি | এক রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) | ৯,৩০০৳ |
মাহিন্দ্রা গাড়ি | এক রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) | ১০,০০০৳ |
চান্দের গাড়ি / জীপ গাড়ি | এক রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি – আলুটিলা – রিসাং ঝর্ণা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্ক) | ১০,৭০০৳ |
মাহিন্দ্রা গাড়ি | এক রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি – আলুটিলা – রিসাং ঝর্ণা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্ক) | ১২,০০০৳ |
চান্দের গাড়ি / জীপ গাড়ি | দুই রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) | ১১,৫০০৳ |
মাহিন্দ্রা গাড়ি | দুই রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) | ১৩,০০০৳ |
চান্দের গাড়ি / জীপ গাড়ি | দুই রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি – আলুটিলা – রিসাং ঝর্ণা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্ক) | ১৩,০০০৳ |
মাহিন্দ্রা গাড়ি | দুই রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি – আলুটিলা – রিসাং ঝর্ণা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্ক) | ১৫,০০০৳ |
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক আসা যাওয়ার জন্য সি এন জি
আপনারা যদি ২-৩ জনের গ্রুপ হয়ে থাকেন তাহলে খাগড়াছড়ি থেকে সিএনজি নিয়ে সাজেকে আসতে পারবেন।
ভাড়ার পরিমান | সময় ও স্থান |
---|---|
৩০০০৳ | শুধু সাজেক যাওয়া (খাগড়াছড়ি – সাজেক ) |
৪২০০৳ | দিনে দিনে ফিরে আসা (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) |
৫২০০৳ | এক রাত্রী যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) |
৬২০০৳ | দুই রাত্রী যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি) |
৬২০০৳ | এক রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি – আলুটিলা – রিসাং ঝর্ণা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্ক) |
৭২০০৳ | দুই রাত্রি যাপন (খাগড়াছড়ি – সাজেক – খাগড়াছড়ি – আলুটিলা – রিসাং ঝর্ণা, তারেং, জেলা পরিষদ পার্ক) |
আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য “হাইস গাড়ি” রিজার্ভ করুন এইখান থেকে: আমাদের রেন্ট-এ কার সার্ভিস
রাঙ্গামাটি থেকে যেভাবে সাজেক আসবেন
রাঙ্গামাটি থেকে দুইভাবে সাজেক আসা যায়। এক সড়ক পথ, দুই নৌ পথ। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ০৭-১০টার মধ্যে বাঘাইছড়ির উদ্দ্যেশ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ২৫০-৩০০৳ পৌছাতে সময় লাগবে ৫-৬ ঘন্টা। রাঙ্গামাটির বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭.৩০ থেকেই খাগড়াছড়ির উদ্দ্যেশ্যে বাস ছাড়ে। আপনি যদি সকালে স্কটে সাজেক প্রবেশ করতে চান তাহলে গাড়ি রিজার্ভ করে ভোর ৬.০০টায় রাঙ্গামাটি থেকে রওনা দিতে হবে। খাগড়াপৌছাতে সময় লাগবে ২ ঘন্টা। খাগড়াছড়ি পৌছে ৩০ মনিটের মধ্যে সকালের নাস্তা সেরে নিবেন। তারপর সাজেকের উদ্দ্যেশ্যে রওনা করবেন। আশাকরি সাড়ে নয়টা অথবা পৌনে ১০টার মধ্যে বাঘাইহাট পৌছে যেতে পারবেন। বাঘাইহাট থেকে সকাল ১০টায় আর্মির স্কট ছাড়ে। সকাল ১০ টার স্কট মিস করলে বিকেল তিনটার স্কটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
চট্টগ্রাম থেকে যেভাবে সাজেক আসবেন
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক আসতে হলে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে খাগড়াছড়ি। চট্টগ্রামের বি আর টি সি, কদমতলি এবং অক্সিজেন মোড় থেকে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি গামী পেয়ে যাবেন। যারা এসি বাসে ভ্রমণ করতে চান তারা বি আর টি সি এবং শান্তি পরিবহনের টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। অক্সিজেন থেকে খাগড়াছড়ি গামী লোকাল বাসের সংখ্যাও কন নয়। তবে নন এসির মধ্যে এই রুটে শান্তি পরিবহনের সার্ভিস বেশ ভালো। খাগড়াছড়ি পৌছে মাহিন্দ্রা / জিপ গাড়ি নিয়ে সাজেক চলে আসবেন। তবে চট্টগ্রাম থেকে সকালে বাসে আসার জন্য অপেক্ষা করলে আপনি সকালের স্কট মিস করবেন। তাই চেষ্টা করবেন ভোর ৫টায় গাড়ি রিজার্ভ করে খাগড়াছড়ি আসার সেটা না পারলে আগের দিন চলে আসবেন খাগড়াছড়ি। রাতে থাকবেন এবং পরের দিন সকালের স্কটেই সাজেক প্রবেশ করতে পারবেন। সকালের স্কটে প্রবেশ করতে পারলে সাজেককে খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। চট্টগ্রাম থেকে যারা ২ রাতের জন্য আসবেন তারা প্রথম দিন বিকেলের স্কটে আসলে কোন সমস্যা হবে না। কারণ সাজেক ভালোভাবে দেখার জন্য আপনার হাতে আরো একদিন থাকবে।
কক্সবাজার থেকে যেভাবে সাজেক আসবেন
অনেকেই কক্সবাজার ঘুরে সাজেকে আসতে চান এবং কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দারাও ভ্রমণের জন্য মেঘের রাজ্য সাজেক ভালীতে বেড়াতে আসতে চান। কক্সবাজার থেকে সাজেক আসতে হলে আপনাকে প্রথমে আসতে হবে খাগড়াছড়ি। তারপর জীপ গাড়ি করে সাজেক। শান্তি পরিবহনের দুইটি নন এসি বাস প্রতিদিন রাত ০৯টা এবং ১০ টায় কক্সবাজার থেকে খাগড়াছড়ি উদ্দ্যশ্যে ছেড়ে আসে। জনপ্রতি ভাড়া ৭৫০টাকা। আপনি যদি সাজেক ঘুরে কক্সবাজার যেতে চান তাহলে একইভাবে যেতে পারবেন।
বান্দরবান থেকে যেভাবে সাজেক আসবেন
বান্দরবান ভ্রমণ শেষ করে যারা সাজেক আসতে চান, আপনারা প্রথমে চলে আসবেন চট্টগ্রামে। বান্দরবান বাস ষ্ট্যান্ড থেকে প্রতি ঘন্টায় একটি বাস চট্টগ্রামে উদ্দ্যশ্যে ছেড়ে যায়। এই বাস আপনাকে নামিয়ে দিবে চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দার হাটে। সেখান থেকে চলে যাবেন অক্সিজেন মোড় বাস ষ্ট্যান্ডে। সেখান থেকে খাগড়াছড়ি গামী বিভিন্ন বাস পেয়ে যাবেন। তবে চেষ্টা করবেন শান্তি পরিবহনে আসতে এই রুটে একমাত্র শান্তি পরিবহনই ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। খাগড়াছড়ি পৌঁছে শাপলা চত্তর থেকে জীপ বা মাহিন্দ্রা ভাড়া করে চলে আসবেন সাজেকে। আরেকটা উপায় হচ্ছে যদি আপনাদের টিমে ১০-১২জন সদস্য হয় তাহলে বান্দরবান থেকে জীপ রিজার্ভ করে চলে আসতে পারবেন রাঙ্গামাটি হয়ে খাগড়াছড়িতে। এই ক্ষেত্রে আপনি আশেপাশের প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে চলে আসতে পারবেন সাজেকে। এবং ভ্রমণে ক্লান্তি আপনাকে স্পর্শ করতে পারবেন না।
এসকর্ট এর সময়
খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প থেকে সাজেক আসাএ জন্য প্রতিদিন সকাল ১০ টায় এবং বিকেল ০২ টায় আর্মির এসকর্ট শুরু হয়। এবং সাজেক থেকেও খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য একই সময়ে আর্মির এসকর্ট শুরু। এই এসকর্টের সাথেই আপনাকে আওতে হবে এবং যেতে হবে। কোনভাবে ১০টার এসকর্ট মিস করলে বিকেলের এসকর্ট –এর জন্য অপেক্ষা করতে আর বিকেলেরটা মিস করলে পরেরদিনের এসকর্ট-এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তা চেষ্টা করবেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাঘাইহাট পৌছাতে।
খাবার রেষ্টুরেন্ট
বর্তমানে সাজেকে বেশ কিছু ভালো মানের রেষ্টুরেন্ট রয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম মারুতি রেষ্টুরেন্ট, চিলেকোঠা রেষ্টরেন্ট, চিম্বাল, মনটানা, কাশবন ইত্যাদি। সাজেকে খাবারের দাম বাংলাদেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দের চাইতে কম। আপনি বেশ ভালোভাবে ৩ বেলা খেতে পারবেন মাত্র ৬০০ -৭০০ টাকায়। তারমধ্যে সকালে থাকে যেমন খিছুড়ি, ডিমকারী, চাটনি, সালাদ। দুপুরের খাবারে থাকছে দেশী মুরুগী, সবজি, ভর্তা, ডাল, সাদা ভাত। ডিনারে থাকবে বারবি কিউ চিকেন ১/৪, রুটি / পরটা, স্পেশাল সালাদ, সফট ড্রিঙ্কস। আপনি চাইলে অন্যান্য আরো ম্যেনু ট্রাই করে দেখতে পারবেন। সাজেক আসলে যে ডিস গুলো অবশ্যই টেষ্ট করবেন তারমধ্যে, ব্যাম্বু চিকেন, ব্যাম্বু বিরিয়ানি, বাঁশ কোরোল ভাজি, বাঁশ কোরোল সবজি, ব্যাম্বু টি। আর অরিজিনাল স্বাদের পাহাড়ি খাবার খেতে চাইলে খাগড়াছড়ির শহরের পানখাইয়া পাড়ায় “খাংময় রেষ্টরেন্ট” –এ যেতে পারেন।
হোটেল / রিসোর্ট
সাজেকে রাত্রীযাপনের জন্য বর্তমানে প্রায় শতাধিক হোটেল / রিসোর্ট আছে। রিসোর্ট শতাধিক হলেও প্রতিটি রিসোর্টে রুম সংখ্যা ২-৮ টি। কিছু কিছু রিসোর্টে বেশী থাকলেও সেটা হাতে গোনা খুব কম। তাই সাজেক আসার আগে অবশ্যই রিসোর্ট বুকিং করে আসবেন। নিচে কিছু প্রিমিয়াম এবং ইকোনোমি রিসোর্টের নাম দিচ্ছি।
রিসোর্ট বুকিং নাম্বার +8801898232747
➞ সারানীল কুটির রিসোর্ট
সারানীল কুটির ( Saranill Kutir Resort ) -এ রুম সংখ্যা চারটি। দুইটি রুম উপরে এবং দুইটি রুম নিচে। এই রিসোর্ট থেকে সাজেকের মেইন ভিউ মিজোরাম ভিউ / ইন্ডিয়া ভিউ দেখতে পাবেন। বর্তমানে কাপলদের বেশ পছন্দের রিসোর্ট সারা নীল কুটির। প্রিয়জনের সাথে একান্তে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য এ রিসোর্ট অনন্য। সূর্যোদয় দেখার জন্য কষ্ট করে আপনাকে হ্যালীপ্যাড যেতে হবে না। রিসোর্টের বারান্দায় বসেই নতুন দিনের সূর্য্যকে আলিঙ্গন করতে পারবেন। এই রিসোর্টে সকল রুম সেইম কোয়ালিটি। প্রতিটি রুমে বড় বড় দুইটি খাট রয়েছে। প্রতিটি ওয়াশ রুমে আছে কমোড (হাই কমোড)। রুমের সাথে আছে বিশাল আকারের বারান্দা।
➞ নীল পাহাড়ি ইকো রিসোর্ট
নীল পাহাড়ি ইকো রিসোর্ট ( Nill Pahari Eco Resort ) –এ রুম সংখ্যা ৬ টি। ৪ টি দোতলায় আর দুইটি আছে নিচ তলায়। নিচে। এই রিসোর্ট থেকে সাজেকের মেইন ভিউ মিজোরাম ভিউ / ইন্ডিয়া ভিউ দেখতে পাবেন। পরিবার সহ থাকার জন্য এই রিসোর্ট বেষ্ট। এই রিসোর্টের ছাদ থেকে আপনি সূর্যোদয় দেখতে পাবেন। এই রিসোর্টে সকল রুম সেইম কোয়ালিটি। প্রতিটি রুমে বড় বড় দুইটি খাট রয়েছে। প্রতিটি ওয়াশ রুমে আছে কমোড (হাই কমোড)। রুমের সাথে আছে বিশাল আকারের বারান্দা। আরো আছে বিশাল একটি ছাদ, ছাদে আছে কয়েকটি আরাম কেদারা ও দোলনা। ছাদের উপরে আছে ফটোগ্রাফি করার জন্য সুন্দর একটি মাচাং।
➞ তরুছায়া ইকো রিসোর্ট
তরুছায়া ইকো রিসোর্ট (Toruchaya Eco Resort) -এ রুম সংখ্যা চারটি। দুইটি রুম উপরে এবং দুইটি রুম নিচে। এই রিসোর্ট থেকে সাজেকের মেইন ভিউ মিজোরাম ভিউ / ইন্ডিয়া ভিউ দেখতে পাবেন। বর্তমানে কাপলদের বেশ পছন্দের রিসোর্ট এটি। প্রিয়জনের সাথে একান্তে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য এ রিসোর্ট অনন্য। সূর্যোদয় দেখার জন্য কষ্ট করে আপনাকে হ্যালীপ্যাড যেতে হবে না। রিসোর্টের বারান্দায় বসেই নতুন দিনের সূর্য্যকে আলিঙ্গন করতে পারবেন। এই রিসোর্টে সকল রুম সেইম কোয়ালিটি। প্রতিটি রুমে একটা কাপল বেড রয়েছে। প্রতিটি ওয়াশ রুমে আছে কমোড (হাই কমোড)। রুমের সাথে আছে বিশাল আকারের বারান্দা।
➞ রিলাক্স সাজেক রিসোর্ট
বিস্তারিত—
➞ দার্জেলিং রিসোর্ট
বিস্তারিত—
➞ মাদল ইকো রিসোর্ট
বিস্তারিত—
➞ কুড়েঘর ইকো রিসোর্ট
বিস্তারিত—
➞ টং থক ইকো রিসোর্ট
বিস্তারিত—
➞ বনলতা ইকো রিসোর্ট
বিস্তারিত—
সাজেক ভ্রমণে যে বিষয় গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন
- সাজেক আসা এবং যাওয়ার সময় চলন্ত গাড়ি থেকে স্থানীয় শিশুদের চকলেট, বিস্কুট, টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারবেন না।
- স্থানীয় আদিবাসীদের সাথে ছবি তোলার জন্য অবশ্যই অনুমতি নিয়ে নিবেন।
- স্থানীয় আদিবাসীরা অনেক সহজ সরল তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার করবেন।
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা কিছু বললে সেটা মনযোগ সহকারে শুনবেন। কারণ উনারা যা বলবেন তা পর্যটকদের ভালোর জন্যই বলবেন।
- স্থানীয় আদিবাসীদের সংস্কৃতির প্রতি অসন্মান করবেন না।
- এসকর্টের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে চলে আসবেন।
- আর্মিদের এরিয়ায় ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ, তাই সকল ক্যান্টনমেন্ট এবং ক্যাম্পে ছবি তোলা থেক বিরত থাকুন।
- সাজেকের রাস্তা অনেক আঁকাবাঁকা ও অনেক উঁচু নিচু তাই ভ্রমণে গাড়ির ছাদে ভ্রমণ না করাই উওম।
- সাজেকে শুধুমাত্র রবি, এয়ারটেলের এবং টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়, তাই ভ্রমণের সময় এইগূলোর যেকোন একটা সঙ্গে রাখুন।
- আসার আগে অবশ্যই হোটেল / রিসোর্ট বুকিং দিয়ে আসবেন।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি সঙ্গে রাখবেন।
- ভ্রমণে গ্যাজেট সমূহ চার্জের জন্য পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন।
- সাজেক ভ্যালীর সৌন্দর্য্য এবং পরিবেশ রক্ষায় আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।